শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
টক-মিষ্টি স্বাদের কামরাঙ্গা থোকায় থোকায় ধরেছে

টক-মিষ্টি স্বাদের কামরাঙ্গা থোকায় থোকায় ধরেছে

আলোর মনি রিপোর্ট: আমাদের এই বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত ফল হলো কামরাঙ্গা। টক-মিষ্টি স্বাদের এই কামরাঙ্গা ফলটি খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন। ফল হিসেবে তো বটেই কোনো কোনো অঞ্চলে কামরাঙ্গার তরকারি রান্না করেও খাওয়া হয়ে থাকে। কামরাঙ্গার টক, চচ্চড়ি বা মাছের ঝোল বাংলাদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়তা রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু জায়গায় কাঁচা কামরাঙ্গার সাথে আপেল ও চিনি দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়াতে কামরাঙ্গা সবজি হিসেবে ও আচার বানিয়ে খাওয়া হয়। জ্যামাইকাতে পাকা কামরাঙ্গা শুকিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে এবং এই পদ্ধতিতে কামরাঙ্গা সংরক্ষণও করা হয়। হাওয়াই ও ভারতে কামরাঙ্গার জুস বেশ জনপ্রিয়। পাকা কামরাঙ্গা দিয়ে আচার, সস, জেলি, ওয়াইনও তৈরি করা হয়। কামরাঙ্গার আদি নিবাস দক্ষিণ এশিয়া। বাংলাদেশে সেভাবে কামরাঙ্গার চাষ না হলেও যুক্তরাষ্ট্র, মালয়শিয়া, ভারত, শ্রীলংকা প্রভৃতি দেশে এর চাষ হয়ে থাকে। কামরাঙ্গার ইংরেজি নাম Carambola। কোথাও কোথাও একে Starfruit নামেও ডাকা হয়। কামরাঙ্গার বৈজ্ঞানিক নাম Averrhoa carambola Linn। কামরাঙ্গা চির সবুজ গাছ। ঘন ডালপালা ও ছোট ছোট পাতার এই গাছটি লম্বায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু হয়। কামরাঙ্গার ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। গাছ লাগানোর ৩ থেকে ৪বছরের মধ্যেই গাছে ফুল চলে আসে। গাঢ় গোলাপি রঙের অসংখ্য ছোট ছোট ফুলে ছেয়ে যায় ডাল। উজ্জ্বল সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে গোলাপি রঙের ফুল খুবই চমত্‍কার দেখায়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ রং ধারণ করে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়ীতেই প্রায় কম আর বেশি কামরাঙ্গা গাছ রয়েছে। কামরাঙ্গা গাছের উজ্জ্বল সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় কামরাঙ্গা ধরেছে। প্রত্যহ পাখিদের আনাগোনায় মুখরিত হয়েছে প্রতিটি কামরাঙ্গা গাছে। কিচির মিছির শব্দের এ ডাল থেকে ও ডালে গিয়ে বসে পাকা পাকা কামরাঙ্গা খাচ্ছে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকড়া ঢঢ গাছ গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাড়ির উঠানে একটি কামরাঙ্গা গাছ রয়েছে। কামরাঙ্গা ধরেছেও প্রচুর। নিজের চাহিদা মিটিয়ে পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতেও কামরাঙ্গা দেয়া হয়ে থাকে। সেই সাথে কামরাঙ্গা ব্যবসায়ীরাও কিনে নিয়ে যান।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, কামরাঙ্গা ফল উৎপাদনে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এটি বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফল হিসেবে সবাই খেতে পারেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone